বর্ষাকাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

গ্রীষ্মের খরতাপ আর গরমের অবসান ঘটিয়ে আবারো এলো এই বর্ষাকাল। আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম হলো বর্ষাকাল। বর্ষাই হল প্রকৃতির প্রাণ। বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করে চারিদিকে বৃদ্ধি পায় সবুজ গাছপালা। তৃতীয় ও চতুর্থ মাস আষাঢ় শ্রাবণ মাস নিয়ে বর্ষাকাল। বাংলার সবুজ ক্ষেত নদী নালাখালীর বর্ষার পানিতে ভরে একাকার হয়ে যায়। এ খুশিতে জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে উৎসাহিত হয় । পানিতে গলার গাছ কেটে ভেলা বানায় শিশুরা। কলার বেলায় চড়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠে শৈশবকাল। 





ডুব দিয়ে হার মানায় পানকৌড়িকে শিশুরা। প্রকৃতিকে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলে ঝরঝর বৃষ্টির পানি। সতেজ হয়ে যায় গাছপালা। বর্ষাকালে নানা ফুল ও ফলের সমরহ সেজে ওঠে প্রকৃতি। কদম, রজনীগন্ধা, কেয়া, জুই, গন্ধরাজ, হাসনাহেনার গন্ধ প্রকৃতিকে দান করে নতুন রূপে। আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, লটকন, কামরাঙ্গা সহ বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় ঋতুতে।

সূচিপত্র

  • বর্ষার প্রকৃতি
  • বর্ষার রূপ
  • মানব মনে বর্ষার প্রভাব
  • বর্ষায় পল্লীর অবস্থা
  • বর্ষায় শহরের অবস্থা
  • বর্ষার ফুল
  • বর্ষার ফল
  • বর্ষায় বাংলার নদ - নদী
  • বর্ষাতে মানুষের জীবন
  • বর্ষাতে কৃষির প্রভাব
  • অর্থনৈতিক জীবনে বর্ষা
  • বর্ষার উপকারিতা
  • বর্ষার অপকারিতা
  • আমাদের শেষ কথা

 বর্ষার প্রকৃতি

 বৃষ্টির মধুর খেলা হলো বর্ষাকাল কিসের মধুর ক্লান্তি প্রকৃতি থেকে মুছে যায় বর্ষা আগমনে। প্রাণ ফিরে পায় গাছপালা সহ সকল সবুজ প্রকৃতি।বৃষ্টির নামে কখনো ভুড়ি গুড়ি আবার কখনো মুষল ধারে। বনানী হয়ে উঠে সবুজ । তাপদাহে দুপুরে শীতল বৃষ্টি প্রকৃতি ও জনমলে এনে দেয় প্রশান্তি। বর্ষাকালে শুকিয়ে যাওয়া নদী খাল বিল পরিপূর্ণ হয়ে যায় বর্ষার পানিতে। মাঠ প্লাবিত হয় বর্ষার পানিতে। গাছপালা গ্রীষ্মের ক্লান্তি শেষ করে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নেয় সবুজের বুকে। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমের দিনগুলো মানুষ যখন অসহ্য গরমে ছটফট করে থাকে তখন বর্ষা আমাদের সামনে হাজির হয়ে বৃষ্টির সান দুপুর নিয়ে। বর্ষাকে দেখে মনে হয় বসা যেন আসে প্রকৃতির বুক জরাতে। বর্ষাকালে বাংলার আকাশ বাতাস মেতে উঠে এক নতুন খেলায়। মানুষের মনে আসে আনন্দের জোয়ার।


প্রকৃতির নতুন সাজ ময়ূরের মাছের মত মানুষের মনে নেচে ওঠে। প্রচন্ড গরমে বর্ষা যেন ছুটে আসে রূপকথার রাজপুত্রের মত। শোনা যায় তার রথের ঝলসে উঠে বাঁকা তলোয় । আর এই সময় পানিতে ভরপুর হয়ে উঠে নদী নদী নালা খাল বিল মাঠ ঘাট পথ পান্তর। অবসান হয় প্রকৃতির খড় তত্ত্ব দুপুরের।

বর্ষার রূপ

হরিয়ানা খাল বিল ভরে একাকার হয়ে যায় বর্ষার পানিতে।। বর্ষার পানি চারিদিকে থই থই করে। আকাশ থাকে মেঘে। আকাশের বুকে যেন চলে বিদ্যুতের খেলা। সূর্যের মুখ কয়েক দিন পর্যন্ত দেখা যায় না। মাঝে মাঝেই নীল আকাশের মেঘগুলো বাতাসে ভেসে বেড়াই। একবার মনে হয় দূরে সরে যায় আবার ফিরে আসে নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে। মাঝেমধ্যে চারিদিক মুখরিত হয় মেঘের গুর গুর শব্দে।
আকাশের বুকে চিরে নেমে আসে অজস্র  ধরার বৃষ্টি। সারাদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। ময়ূর হে কম মেলে আকাশে কালো মেঘ দেখে। আকাশের বুক ফেটে বৃষ্টি নামে আসে। বাংলার কৃষকেরা ব্যস্ত থাকে বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে ফসল তোলার কাজে। কারণ বর্ষাকাল হল ধান চাষ ও পাট কাটার সঠিক সময়। যেন নতুন পানির আনন্দে গান ধরে  ঘেঙর ঘ্যাং। কিন্তু বৃষ্টির চাপে বাহিরে যাওয়া যায় না। তাইতো কবিগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন,

নীল ঘন নীল নবঘনে আশার গগনে,
 তিল ঠাই আর নাহি রে ।
ওগো আজ তোরা আসবে ঘরের বাহিরে।

মানব মনে বর্ষার প্রভাব


বর্ষার প্রভাব মানব মনে অপরিসীম। বর্ষা সৃষ্টিশীল ও সহজ সরল করে তোলে মানব মনকে। বর্ষা আমাদের মনকে অফুরন্ত আবেগে প্রবাহ নিয়ে আনে।  কাব্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে বাংলার বর্ষা। বর্ষা আমাদেরকে উপহার দিয়েছে প্রেম ও ভালোবাসা অনুভূতি। বনভূমি শ্যামল হয়ে ওঠে বর্ষার মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ছায়ায়। বসে আছে নতুন মানুষের মনকে সহজ ও সরল ভাবে। মন হয়ে যায় উদাস বর্ষা মুখর দিনে মন চায় কারো সান্নিধ্য লাভ করতে। তাইতো পল্লীকবি জসিম উদ্দিন বলেছেন

আজকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন
চুল ছলো জল ধরে
বেনুবনে বায়ু নড়ে এলোকেশে
মন যেন চায় তারে

বর্ষা প্রকৃতিকে সাজায় নতুন সাজে। গাছ ফলের সতেজ হয়ে ওঠে। এ সময় ফুল ফোটে নানা ধরনের। প্রকৃতি সজীবতা ফিরে আসে । গাছে দেখা যায় সবুজ পাতা। কদম কেয়া গন্ধরাজ জুঁই চামেলী হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে এই ঋতুকে বিমৃত করে তোলে। সবমিলিয়ে প্রকৃতি মানব বোনকে ছুঁয়ে  যায়।


গগনে গরসে মেঘ ঘন  বর্ষা
কুলে একা বসে আছি নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভাড়া ভাড়া
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী  ক্ষুরধারা
খড় পরসা।
কাটিতে কাটিতে ধান এলো বর্ষা

একখান ছোট ক্ষেত আমি একেলা, 
চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পর পরে দেখি আঁকা 
তরুণ ছায়া সীমা মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
 প্রভাত বেলা।
এপারেতে ছোট ক্ষেত আমি একেলা।

 বর্ষায়  পল্লীর অবস্থা

বর্ষা গ্রামের নদী-নালা খাল বিলডোবা পুকুর সব কিছু পানিতে থৈ থৈ করে। নিম্ন অঞ্চলে নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। প্রানের রাস্তাঘাট হয়ে উঠে যার কারণে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। কৃষকেরা মাঠে যাই মুষলধারা বৃষ্টির মধ্যে। গৃহিণীরা ঘরের নানা কাজ করে থাকে। বর্ষায় নদীতে নতুন পানি জমে আর এই কারণেই মাছ ধরার ধুম পড়ে যায়। বসার পানিতে মাছগুলো যেন সাজে নতুন সাজে। খাল বিলে  ফোটে শাপলা ফুল।  জেলেরা ঝাকে ঝাঁকে মাছ ধরে।

বর্ষায় শহরের অবস্থা

বর্ষার শহরে নিম্ন অঞ্চল মাঝে মাঝে প্লাবিত হয়। রাস্তায় জমে থাকে পানি যার কারণে ঘর থেকে বের হতে কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবুও বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষকে বাহিরে যেতে হয়। মানুষকে পোহাতে হয় নানা দুর্ভোগ। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায় বিশেষ করে দাম বাড়ে কাঁচা তরকারি যার কারণে মধ্যবিত্ত নিয়মিত মানুষের কষ্ট অনেক বেড়ে যায়।

বর্ষার ফুল

বসে আলা আমাদের নদী-নালা অখাল বিলে পানিতে ভরে যায় এর কারণে বিলে ফোটে শাপলা পদ্ম ও কলমি সহ নানা রঙের ফুল। ডাঙ্গায় ফোটে কদম, কেয়া, হিজল, বেলি ও গন্ধরাজ হাসনাহেনা ফুল। এসব ফুল বর্ষার পানিতে ভিজে সজীব হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে চারিদিকের ফোটে ফুলের মেলা। সৌন্দর্যের রেনু খুলে বর্ষায় ফোটে কদম ফুল যা বর্ষার রূপকে বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়। জসীমউদ্দীন এ ভাষায় কাহার ঝিয়ারি ছোট ছোট রেনু খুলিয়া দিয়েছে অফুরন্ত  কলিকায়। এ সময় বিলে  ঝিলে ফোটে শাপলা শালুক। হিজল আর কেয়া ফুলের অপরূপ দৃশ্য বর্ষাকে দেই  অপরূপ সৌন্দর্য।

বর্ষার ফল

আমাদের দেশে বর্ষাকালে নানা রকম ফল পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আম ,জাম, কাঁঠাল, জামরুল ,পেয়ারা, করমচা, কামরাঙ্গা ,বাতাবি লেবু , আমড়া, আনারস, লটকন সহ বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়এ ঋতুতে। এসব ফল স্বতন্ত্রভাবে তুলে ধরে বাংলার বৈশিষ্ট্যকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন  ফল পাওয়া যায়।

 

বর্ষায় বাংলার নদ - নদী

বর্ষাকালে বাংলার নদ নদী পরিপূর্ণ যৌবন ফিরে পাই। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে এই সময় নদী তার আসল সৌন্দর্য খুঁজে পায়। নদীর পাড়ে সবুজ ঘাস আরো সবুজ হয়ে ওঠে। নদীর দুই ধারে কাশবন ভরে যায ।
নদীর পারে সাদা সাদা ঝাকে ঝাকে বক দেখা যায়। যতদূর চোখ যায় শুধু পানি তারপর লম্বা একটি গ্রামের রেখা তার ওপরে শুধু মেঘ আর মেঘ। এ সময় জেলেরা নদীতে প্রচুর মাছ ধরে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।

 বর্ষাতে মানুষের জীবন

অনেক সময় বর্ষায় মানুষের জীবন অনেক দুর্ভিক্ষ হয়ে ওঠে। নিচু জায়গাগুলোতে পানি ভরে যায়। যখন প্রচুর বৃষ্টি হয় তখন নিম্ন অঞ্চলগুলোতে  পানি পরিণত হয় বন্যায়। চারিদিকে পানিতে ছোট ছোট গ্রাম গুলো মনে হয় এক একটি ছোট ছোট দ্বীপ। এমন অনেক সময় থাকে যখন ঘর থেকে বাইরে বের হতে নৌকা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। এই সময় সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সব মিলে মানুষকে পোহাতে হয় অনেক কষ্ট। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।  নিচু এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়। শিশুদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত হয়। অনেক সময় বর্ষার কারণে তারা স্কুলে যেতে পারে না ।

বর্ষাতে কৃষির প্রভাব

বর্ষাকালে কৃষি ও কৃষকের জন্য একটি ভালো দিক। কারণ কৃষির কাজের জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর পানির। বাঙ্গালীদের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ সময় কৃষকরা ব্যস্ত থাকে বাঙ্গালীদের প্রধান শস্য ধান চাষে। কৃষকেরা মাঠে জমি চাষ করে ধান চাষে উপযোগী করে । আর এই সময় বৃষ্টির পানি খুবই প্রয়োজন।এ সময় মাঠে কচি ধানের চারাগুলো মনে হয় পানিতে দোলা খাচ্ছে। অনেক সময় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। যার কারণে বর্ষাকালে সবকিছু প্রচুর দাম বেড়ে যাই। নদী ফেঁপে ওঠা জোয়ারের পানি প্রচুর পলি জন্মায় বাংলার মাটিতে, যা নিয়ে আসে শস্য প্রাচুর্যের বার্তা। বর্ষার পানিতে সতেজ হয়ে উঠে ফসলের মাঠ ,আর হাসি ফোটে কৃষকের মুখে।


অর্থনৈতিক জীবনে বর্ষা

বর্ষা বাংলাকে শস্য শ্যামল করে তুলেছে আর এ সময় বাংলার কৃষকের ঋতুকে বীজ বলে চারা গাছ তোলে ও রোপন করে। বর্ষার দুঃখী দাখিনের উপর নির্ভরশীল বাংলার অন্ন বস্ত্র সহ সকল ঐশ্বর্য। বর্ষা বাঙ্গালীদের মনোভূমিকে করেছে কাম্যময় ও সারস। বর্ষার অর্থনৈতিক জীবনে সচ্ছন্দ বিধান করে এবং সাংস্কৃতিক জীবনের  গঠন করে। বৃক্ষরোপণ ,বর্ষামঙ্গল ,জন্মাষ্টমী ও রথযাত্রা সবকিছুই যেন বর্ষার অবদান।

বর্ষার উপকারিতা

বাংলাদেশে বর্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর এই কৃষি প্রধান দেশে বর্ষা নিয়ে আসে আশ্বাসের বার্তা। আর বাংলাদেশের প্রধান শস্য হল ধান। চাষ করতে হলে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। বর্ষার বৃষ্টির উপর নির্ভর করে এ দেশের চাষাবাদ ও ফলন। বর্ষার কারণে জমিতে পানি জমে যায় যার কারণে জমি হয়ে উঠে উর্বর এবং ফসল ফলন বেশি হয়। বর্ষার ফলে অউর্বর মাটি হয়ে ওঠে উর্বর। গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দুপুর বর্ষার পানিতে হয়ে যায় শীতল। বর্ষাকালে মাছ দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে যার কারণে খাল বিলে মাছ পাওয়া যায়। পানিতে ভরপুর হয় বিভিন্ন নদী ও জলাশয়। যার কারণে মাছ খুঁজে পাই সঠিক আবাসস্থল।
 বর্ষার পানি চারপাশে ময়লা আবর্জনা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়। নদীতে পানি বেড়ে যায় যার কারণে নৌকা চলাচলের সহজ হয়ে যায়। বর্ষার পানিতে বাতাসের দূষিত পদার্থ মাটিতে মিশে যায় যার কারণে প্রকৃতির বাতাস হয়ে যায় বিশুদ.। গাছপালা সতেজ অনুভব করে ।নতুন চারা রোপন করা হয় এই বর্ষাকালে।

বর্ষার অপকারিতা

বর্ষার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। বসার পানিতে রাস্তাঘাট কাদায় ভরে যায়। আর কোথাও কোথাও ডুবে যায় কোথাও দেখা যায় বন্যা যার কারণে চলাফেরাই  অসুবিধা হয়ে ওঠে। দিনমজুররা ঘরে আবদ্ধ হয়ে যায়। তারা কোন কাজ করতে পারে না যার কারণে তাদের দুঃখের কোন সীমা থাকে না। গরিবের ঘরে পানি পড়ে তার ভাঙ্গা চাল দিয়ে যার কারণে বৃষ্টির পানিতে ভরের সমস্ত কিছু ভিজে যায়। গবাদি পশুগুলো এই সময় বেশ কষ্ট হয। তারা সময় মত খাবার পায় না। বর্ষা শেষে অনেক ধরনের রোগ দেখা দেয়। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে উপস্থিত হতে পারেনা তাদের পড়াশোনায়  বিঘ্ন ঘটে ।

আমাদের শেষ কথা

বর্ষা আমাদের সামনে হাজির হয় তার নিজস্ব রূপ নিয়ে। বসার অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা বেশি। বর্ষার কারণে এ দেশ হয়ে উঠে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। যদি বর্ষা না হতো তাহলে আমাদের দেশ মরুভূমিতে পরিণত হতো। তাই বলা যায় বর্ষা আমাদের জন্য প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। তাইতো আমরা বর্ষাকে জানাই সাদর সম্ভাষণ। বসন্ত কে ঋতুরাজ বললেও রূপের ও সৌন্দর্যের দিক থেকে বর্ষাকাল সব থেকে শ্রেষ্ঠ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url