শীতকালে ফুসফুস পরিষ্কার রাখার উপায়

 অতিরিক্ত দূষণ থেকে অনেকের অ্যাজমার সমস্যায় ভোগেন। আমাদের দেহে শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখতে সাহায্য করে ফুসফুস। ফুসফুসকে ভালো ও সতেজ রাখতে এখনই দরকার সতর্কতা। পরিষ্কার রাখা যায় তা আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন।



  1. কাজু, আখরোট, পেস্তা্‌ ও চিনা বাদাম সহ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন ই রয়েছে। সেই সঙ্গে লবণ ও ভূমিকা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এসব খাবার অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
  2. মধুতে আন্টি মাইক্রোবায়াল ও প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন এক চা চামচ মধু গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
  3. ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুস এর জনিত সমস্যারও বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখাতে দেই। ভিটামিন ডি এর মূল উৎস হল সূর্য। এছাড়াও দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস, ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।
  4. তুলসী পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস সুরক্ষায় খুবই কার্যকর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী তাই শ্বাসতন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর করে তুলসীর রস কিংবা এই পাতা পানিতে পান করুন ফুসফুল ভালো থাকবে।
  5. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরী ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়া জরুরি। বাইরে থেকে এসে হাত ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। বিশ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  6. ফুসফুস ভালো রাখতে হলে মাস্ক পরা জরুরী। ফুসফুস ভালো রাখতে চাইলে রাস্তায় বা ভিড়ে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
  7. শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে ব্যায়াম করা জরুরি। কিছু বিশেষ ব্যায়াম রয়েছে, যা কার্যকরী ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যেকোন সময় করতে পারেন খেয়াল। 
  8. শীতের ফুসফুসের সংক্রামন ঠেকাতে স্বাস্থ্যকর খাবার দরকার। ডায়েটে বেশি করে ফল ও সবজি রাখুন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খায় এতে শরীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে বাড়ায়।
  9. ফুসফুস ভালো রাখতে হলে কালোজিরা অনেক ভালো কাজ করে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট করতে সাহায্য করে। আধাশা চা চমক কালোজিরার গুঁড়া ও এক চা চামচ মধু একসাথে প্রতিদিন মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
  10. শারীরিক পরিশ্রম করলে ফুসফুস ভাল থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিন ব্যায়াম করা আবশ্যিক। এজন্য ইয়োগা বা কার্ডিও এক্সারসাইজ প্রতিদিন করতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url