কিভাবে কম্পিউটার বর্তমান বিশ্বে অবদান রাখে?



বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটারের অবদান কোন কোন জায়গায় রাখে তা আমরা বিস্তারিত জানব? কম্পিউটার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। কম্পিউটার কাজ করে ডাটা নিয়ে। কম্পিউটার দিয়ে গণনার কাজ বা হিসাব-নিকাশের কাজ করা হয় তখন সংখ্যা হয় কম্পিউটারের ডাটা। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম সমূহ বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন, বা শব্দ ইত্যাদি রূপ ফুটিয়ে তুলে। এটি দিয়ে যেকোনো তথ্য নিয়ে কাজ করা হয়। কম্পিউটারে গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করা হয়। তখন ইমেজ এনিমেশন হয় কম্পিউটারের উপাত্ত ।



কম্পিউটারের হার্ডওয়ার যন্ত্রের মাধ্যমে এসব উপাত্তকে যন্ত্রের ভাষায় প্রক্রিয়াকরণ করে। কম্পিউটার কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হয়? এ বিষয়ে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন পুরো আর্টিকেল জুড়ে।কম্পিউটার রয়েছে তথ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ , উপাত্ত উপস্থাপনের ক্ষমতা। নিজের কাজ করতে পারে না। মানুষের তৈরি করা নির্দেশের সাহায্যে দ্রুততার সাথে নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে।

         সূচি পত্র

  • ই-কমার্স এর সাহায্যে বেচাকেনা
  • ব্যাংক ব্যবস্থায় কম্পিউটার
  • প্রকাশনায় কম্পিউটার
  • শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার
  •  তথ্য সংরক্ষণ
  • যোগাযোগ ব্যবস্থাই  কম্পিউটার
  • পরীক্ষার ফল তৈরিতে কম্পিউটার
  •  প্রশংসা পত্র তৈরিতে কম্পিউটার
  • শিল্প কারখানায় কম্পিউটারে ব্যবহার
  • বিনোদনের কম্পিউটার 
  • আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কম্পিউটার
  • শেষ কথা

ই-কমার্সের সাহায্যে বেচাকেনা

আমাদের এই কৃষি প্রধান দেশে। আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার কেমন হয়নি। দেশের বৃহত্তম গতিগুলো এখন হাট বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু নগর গুলো ক্রমশ আধুনিক পাচ্ছে এত সময়ে আরো দাড়ি দোকানদারি এবং শপিং প্লাজা ইত্যাদি রূপান্তরিত হচ্ছে। আমরা সবাই জানি ব্যবসা-বাণিজ্য মানে অনেক হিসেব নিকাশের ব্যাপার ব্যবসা যত বড় হিসেব নিকেশ তত বেশি কম্পিউটার খুব সম্ভবত কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য হিসেব নিতা সে ক্ষেত্রে ব্যাপক অবনম্যান রাখছেন। মালামালের মজুদ বিক্রি আমদানি রপ্তানি বিল তৈরি বকেয়া পাওয়া কাজ করছে না আগের মতপ্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ওয়েবসাইট তৈরি করে। অন্য বেচাকেনা করছে বিশ্বের বৃহত্তম যে বইয়ের দোকানটি তাই এখন ইন্টারনেট অবস্থিত।

ব্যাংক ব্যবস্থায় কম্পিউটার 

ব্যান্ড ব্যবস্থাকে যদি আমরা ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচনা করি। তাহলে সেখানে কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায়। আমাদের দেশে এখন দিনের রাতে ব্যাংকিং সেবা পাবার মত অবস্থা তৈরি হয়েছে। কোন ব্যাংকের এমন অনেক ব্যাংকিং ব্যবস্থা আছে। যে মানুষজন ছাড়াই ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া টাকা তোলা বিল পরিশোধ করা হিসাবে বিবরণী পাওয়া ইত্যাদি অনেক কাজ করা হয়। আর এসব কাজ করা যায় দেশের যেকোনো জায়গা থেকে খোলা হলে দেশের যেকোনো জায়গায় সেই ব্যাংকের শাখা থেকে লেনদেন বা ব্যাংকিং করা হয়। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ যোগাযোগ তথ্য ব্যবস্থা সকল কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রকাশনায় কম্পিউটার


প্রকাশনায় কম্পিউটার এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেছে। এখন উন্নত দেশগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মুদ্রক যন্ত্র রয়েছে ।অনেক ব্যয়বহুল বলে আমাদের দেশে এর ব্যবহার কম সম্পন্ন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। এসব যন্ত্র কাগজ তুলে দেওয়ার পর বাদবাকি কাজ যেমন কতগুলো ছাপা হবে কালিকম দেওয়া হচ্ছে ,কিনা ছেঁড়াফাটা কাগজ আছে কিনা ইত্যাদি সব নিয়ন্ত্রণ ও যাচাই করে সুন্দরভাবে ছাপার কাজ সম্পূর্ণ করার একেবারে ভাজ করে দেওয়া পর্যন্ত। আমাদের দেশে আগে কম পোস্ট করা হতো শিশুর অক্ষর দিয়ে সীসার অক্ষর দিয়ে কম্পোজ করার ছাপাখানা কে বলা হতো লেটার প্রেস। আসি দর্শকের মাঝেমাঝে সময় পর্যন্ত আমরা সম্পূর্ণভাবে লেটার প্রেস এর উপর নির্ভুল ছিলাম।


 লেটার প্লেসে আবার পোস্টার জাতীয় কাজে বড় অক্ষর ব্যবহার করার জন্য কাঠের তৈরি হরফ ব্যবহার করা হতো। কয়েকবার ব্যবহারের পর সীসার বরফগুলো কাজের উপযোগী হয়ে যেত। আর সেটা শুধু শেষ দিক থেকে আমাদের দেশে কম্পিউটারের সাহায্যে কাজ শুরু হয়। এখন আমাদের দেশে দৈনিক পত্রিকার সহ সকল প্রকার পত্র পত্রিকা এবং বই কম্পিউটারের কম্পোজ হয় কাজের জন্য এখনো কিছু গ্রেটার পেজে কাজ হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটার


প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নতুনের আঙ্গিকে উপস্থাপনা করেছে। কম্পিউটার আমাদের প্রচলিত শিক্ষা দান পদ্ধতিতে চোখ ডাক্তার ব্ল্যাকবোর্ড বই খাতা পেন্সিল কলোনি ইত্যাদি দিয়ে যে শিক্ষার পদ্ধতি চালু রয়েছে কম্পিউটারটা বদলের মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার চালু করেছে। এক সময় শিক্ষার্থীরা বই থেকে যেভাবে তথ্য পেতে মাল্টিমিডিয়ার সফটওয়্যার ও  ইন্টারনেটের সাহায্যে তার চাইতে আরো অনেক উন্নত ও আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে এখন তারা তথ্য পাচ্ছে। শিক্ষার জন্য যে তথ্য কাগজে পাওয়া যেত তা হয়ে উঠেছে ডিজিটাল মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য কম্পিউটারের যুগ নেই।

 
পাঠ্য বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের মনে গেথে দেওয়ার জন্য কম্পিউটার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম কোন কিছু শেখানোর জন্য শিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্রদের যত বেশি ইন্দ্রিয় কাজে লাগানো যায়। তাতে দ্রুত তার বিষয়টি শিখতে পারে এবং সেটা বিষয়টি মনে রাখতে পারে অনেকদিন কতটি দেশ আছে। কোন দেশের রাজধানীর নাম কি? মুদ্রার নাম কি? জনসংখ্যা কত? শিক্ষার হার কত? ইত্যাদি সব তথ্য কম্পিউটারে ২ একটি বোতাম চাপ দিলেই পাওয়া যায়। এর সব সুযোগ একটি সাধারণ কম্পিউটারে পাওয়া যেতে পারে। কাজের কম্পিউটারের সাহায্যে শিক্ষাদানে যে প্রচলিত শিক্ষাদান পদ্ধতির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকারিতা আর বলার অপেক্ষা রাখে  না।

তথ্য সংরক্ষণ


 
বিদ্যালয়  প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি সাধারণ কম্পিউটারের শুভ কর্মচারীদের নাম, ঠিকানা, বেতন, চাকরির বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং একই সঙ্গে প্রতিটি শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের নাম ঠিকানা ক্রমিক নম্বর শ্রেণী পরীক্ষার উন্নতি ও উন্নতি বিবরণ এবং বেতন সম্পর্কিত সর্বশ্রেষ্ঠ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। অভিভাবক এসে তার ছেলে মেয়ে সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানার প্রয়োজন মনে হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি কম্পিউটারের একটি বোতাম চাপ দিলে তার ছেলে বা মেয়ে সম্পর্কে জানতে চাওয়া সকল তথ্য কম্পিউটারে পর্দায় দেখিয়ে দিতে পারবে। এজন্য আলমারি বা হাতে তুলে রাখা থাকা পত্র টেনে নামিয়ে তথ্য খুঁজে বের করার প্রয়োজন হয় না। ফলে সময় ও শ্রম দুই বেচে যায়। ও বিপক্ষে অপেক্ষা করতে হয় না যিনি কাগজপত্র দেখাশোনা করেন তিনিও তাকে সন্তুষ্ট রাখতে পারেন। বারবার খাতারনামা উঠানামা করতে হয় না একটি কম্পিউটারের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ বিস্তার অন্য একটি কম্পিউটার প্রধান শিক্ষকের পক্ষে রাখা হলে তিনি সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে। বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন আপনারা কেমন আছেন।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় কম্পিউটার


বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য নানা প্রকার পত্র যোগাযোগ প্রয়োজন হয়। থানা শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস, জেলা শিক্ষার কর্মকর্তার অফিস এবং শিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত প্রতিটি অফিসের সঙ্গে কোন না কোনরকম পত্র যোগাযোগ করতে হয়। কখনো কখনো সমান পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় আর প্রতিবারই একই পত্র সম্পূর্ণটাই নতুন করে টাইপ করতে হয়। টাইপ করার সময় বানান ভুল হলে আবার নতুন করে টাইপ করতে হয় টাইপ করার সময় বানান ভুল হলে আবার নতুন করে টাইপ করতে হয়।



 অপরপক্ষে কম্পিউটারের স্মৃতিতে প্রতিটি চিঠি রেখে দেওয়া হয়। যখন যে চিঠির প্রয়োজন সেই চিঠিটি পর্দায় এনে একটি কপি করার পর প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে নেওয়া যায় ।নতুন করে টাইপ করতে যেতে ভুল হলেও শুদ্ধ করে নেওয়া যায়। তাতে মুদ্দিত চিঠির মান ক্ষুন্ন হয় না আর কম্পিউটারের টাইপ করা চিঠির মান অনেক উন্নত হয়। দেখতে অনেক সুন্দরও হয়। এছাড়া বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট অফিসে সরাসরি কম্পিউটার থেকে কম্পিউটার যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব ।

পরীক্ষার ফল তৈরিতে কম্পিউটার


কোন বিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর কতজন ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের প্রতি বছর পরীক্ষার ফলাফল কম্পিউটারের স্টোরেজে রেখে দেওয়া যায়। কম্পিউটারের স্টোরে যে এরকম ১০০ বছরের ফলাফল সংরক্ষণ করা যায়। ফলাফল সংরক্ষণ করা যায় ফলে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে বা পোকামাকড়ের উপদ্রব্যের ফলে কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর প্রয়োজনে যেকোনো সময় যে কোন বছরের পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে দেখে নেওয়া যায়। অন্যদিকে কম্পিউটারের সাহায্যে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল তৈরি ও সংরক্ষণ করা যায়।

প্রশংসাপত্র তৈরিতে কম্পিউটার


প্রতিবছর বিদ্যালয় থেকে প্রশংসা পত্র দিতে হয়। নাম, পিতার নাম, সাল, তারিখ ইত্যাদি জায়গা গুলো শূন্য রেখে প্রশংসা পত্র গুলো ছাপানো হয়। প্রশংসাপত্র দেওয়ার সময় ওই শূন্য ঘর গুলো হাতে লিখে পূরণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কম্পিউটারে এরকম একটি তৈরি করে রাখলেই চলে। প্রশংসা পত্র দেওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীর নাম, পিতার নাম, সাল, তারিখ ইত্যাদির টাইপ করে সবাইকে একেবারে নতুন মুদ্রিত প্রশংসা পত্র দেওয়া যেতে পারে। এতে প্রশংসা পত্রের সম্পূর্ণ লিখাই হয় মুদ্রিত অক্ষরে। প্রশংসা পত্রে কোন সমস্যাও থাকে না।

শিল্প কারখানায় কম্পিউটার ব্যবহার


কম্পিউটারের সাহায্যে উৎপাদনের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রক যন্ত্র গুলো কম্পিউটারের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী নিখুঁতভাবে পণ্য তৈরি করে থাকে। একটিও হেরফের হয় না।আবার কোন কোন যন্ত্রের দেখাশোনার কাজ করে থাকে কম্পিউটার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটির কোথাও গোলযোগ দেখা দিলে তা কোন ভাবে নষ্ট হলে কবিরা টা জানতে পারে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় একটি সুবিধা হচ্ছে, কোন পরিস্থিতিতে কম্পিউটার ২৪ ঘন্টা কাজ করে যেতে পারে। কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে পন্য উৎপাদনের সুবিধা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পুরানো তুলনা মূলক ভাবে শ্রমিক কম লাগে। তৈরি পণ্যের মান নিখুঁত হয়। কাঁচামালের অপচয় হয় না।


 
এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।ফলে সামগ্রিক উৎপাদন খরচ কম হয়, এবং সব মিলিয়ে মুনাফা বেশি হয়। শিল্প-কারখানা কে কম্পিউটার নির্ভর করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কয় স্থাপন এবং দক্ষ জন শক্তির উচ্চ বেতনের জন্য প্রাথমিক খরচ বেশি পড়ে। কিন্তু, দীর্ঘদিন  চালনার হিসেব করলে প্রকৃত খরচের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমে আসতে থাকে। একপর্যায়ে প্রচলিত নিয়মে পরিচালিত একই ধরনের শিল্প কারখানার চেয়ে গড়পরতা খরচ কম পড়ে। সামরিকভাবে বলতে গেলে আমরা বলতে পারে সময়ের মধ্যে বাস করছি কম্পিউটারের যুগে। 

বিনোদনের কম্পিউটার


কম্পিউটার বিনোদনের পদ্ধতি পাল্টে দিয়েছে। টিভি ভিডিও চলচ্চিত্র এসব আলাদা আলাদা বিনোদনের মাধ্যমে সর্বত্রই কম্পিউটারের প্রয়োগ হচ্ছে। এখন চলচ্চিত্র নির্মাণ চলচ্চিত্রে স্পেশাল ইফেক্ট প্রদান ভিডিও নির্মাণ ভিডিওতে এনিমেশন ও স্পেশাল ইফেক্ট প্রদান টেলিভিশনের জন্য অনুষ্ঠান তৈরি ইন্টার এভিট একটিভেট টিপস টেলিভিশনের অনুষ্ঠান তৈরি কম্পিউটার গেমস তৈরি। এবং বিনোদন পণ্য তৈরির জন্য কম্পিউটার ব্যবহার অপরিসীম। বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব কম্পিউটার কর্মক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে প্রায় প্রতিটি হচ্ছে আলাদা আলাদা মিডিয়ায় ভিত্তি। অডিও জগতে বাংলাদেশে বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব অডিও স্টুডিওতে ডিজিটাল সিস্টেম রয়েছে। বেশ আগেই কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল চালু হওয়ার ফলে জগৎটা বেশ বাড়ছে ।


আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কম্পিউটার


কাজে কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়। অপরাধীর চেহারা অংকন করতে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। অপরাধের এলাকা সমূহ চিহ্নিতকরণ করার জন্য কম্পিউটার প্রভাব অনেক। একটি  ডাটাবেজ তৈরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় কম্পিউটারের ভূমিকা অপরিসীম। কোন থানা থেকে প্রতিবছর কতজন আসামি নিযুক্ত হয় তা কম্পিউটারে স্টোরে রেখে দেওয়া হয়। কম্পিউটার এরকম ১০০ বছরের রেকর্ড সংরক্ষণ করে থাকে। এর ফলে নানা কারণ যেমন ঝড়-বৃষ্ট পোকামাকড় ফলে কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না । প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো বছরের আইন শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কাগজ কম্পিউটারের নিমিষেই পাওয়া যায়।

শেষ কথা


আজকের দিনে কম্পিউটার ছাড়া আমাদের জীবন প্রায় অচল। এক সময় কেবলমাত্র অংকন বা হিসেবের কাজে কম্পিউটার এখন বহু ধরনের  কাজে ব্যবহৃত  হয়। তথ্য সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার একটি অতি প্রয়োজন তথ্য সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার একটি অতি প্রয়োজনীয় মাধ্যম।  শিল্প কারখানার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার কম্পিউটারের গুরুত্ব অপরিহার্য। প্রকৌশল চিকিৎসা বাণিজ্য যোগাযোগ গবেষণা মুদ্রণ ও প্রকাশনা কম্পিউটারের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে ।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুবিধ কাজও কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।













Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url