তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত

তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? এ সম্পর্কে জেনে আমাদের ত্বকে সাবান ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অনেকের অত্যন্ত পরিমাণে তৈলাক্ত হয়ে থাকে। বিশেষ করে রৌদ্র কোথাও বাইরে গেলে। যেহেতু আমরা ত্বকের জন্য সমান ব্যবহার করি তাই তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আজকের এই আর্টিকেলে তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? তা জানাবো।

আপনি যদি তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? তা জেনে নেওয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত

তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত জেনে নিন

আমাদের ত্বক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তার মধ্যে তৈলাক্ত একরকম। তৈলাক্ত ত্বকে সাধারণত ব্রন বেশি হয়ে থাকে কারণ তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা জমে মুখের ছিদ্রগুলোকে বন্ধ করে যার ফলে ব্রণ সৃষ্টি হয়। তাই তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে একটু বেশি যত্নশীল হতে হবে। ত্বকে সাবান ব্যবহার করার আগে তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে চুল ঘন করার উপায়

তৈলাক্ত ত্বকে সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে অল্প ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই মনে করেন তৈলাক্ত তাকে সাবান ব্যবহার করা যাবে না কিন্তু কথাটি ঠিক নয়। অবশ্যই সাবান ব্যবহার করা যাবে কিন্তু যে সকল সাবানের অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষার যুক্ত থাকে সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না তাই অল্প ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।

বাজারে খুব কম দামের মধ্যে সাবান পাওয়া যায় যেমন কসকো। এছাড়া আরো বেশ কিছু ফ্রেশওয়াস বা সাবান রয়েছে এগুলো সাধারণত অল্প ক্ষারযুক্ত। এই সাবানগুলো তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। আপনার ত্বক যদি অত্যন্ত পরিমাণে তৈলাক্ত হয়ে থাকে তাহলে এই সাবানগুলো ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে হলে দিনে অন্তত দুইবার তৈলাক্ত ত্বকযুক্ত মুখ পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই কম ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে। এর চেয়ে মৃদু সাবান যেমন গ্লিসারিন সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা উচিত।

কোন ত্বকের জন্য কোন সাবন ব্যবহার করবেন

কোন ত্বকের জন্য কোন সাবন ব্যবহার করবেন? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে সাবান ব্যবহার করা খুবই জরুরী। যেহেতু আমাদের ত্বক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা ত্বকের অনেক যত্ন নিয়ে থাকে তারা কোন ত্বকের জন্য কোন সাবন ব্যবহার করবেন? সে সম্পর্কে জেনে নিন।

  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
  • সংবেদনশীল ত্বকের জন্য
  • মশ্চারাইজিং সাবান
  • অ্যান্টি ব্রণ সাবান
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য
  • মিশ্র ত্বকের জন্য
  • ভেষজ সাবান

তৈলাক্ত ত্বকের জন্যঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান বা ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল যুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বক হওয়ার ফলে আমাদের ত্বক দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান এছাড়া থাইম যুক্ত নির্দিষ্ট ফ্রেশ ক্লিনার যুক্ত সাবান খুবই কার্যকরী এবং উপকারী।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্যঃ ত্বক খুবই সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং অল্পতেই সংক্রমণ হয়ে যায়। সাধারণত সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভিটামিন ই এবং জোজোবা তেল যুক্ত সাবান কার্যকরী। সাধারণত এই সাবানগুলো সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপকারী।

মশ্চারাইজিং সাবানঃ এ ধরনের সাবান ত্বককে আদ্র করে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ধরনের সাবান প্রয়োজন। এই সাবানগুলোতে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। সাবানের ক্ষারীয় ভাবের জন্য ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। তাই তোকে মশ্চারাইজার করতে উক্ত সাবানগুলো ব্যবহার করুন।

অ্যান্টি ব্রণ সাবানঃ সাধারণত যাদের মুখে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্রণ থাকে তাদের জন্য অ্যান্টি ব্রণ সাবান খুবই কার্যকরী। সাধারণত অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। এই সাবানের মধ্যে যে সকল উপাদান থাকে সেগুলো ব্রণ প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানঃ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানে পিএইচ মাত্রা ৯ থেকে ১০ এর মধ্যে থাকে। এই সাবান তরল বা কঠিন বার আকারে পাওয়া যায়। কেউ যদি দিনে কয়েকবার এই সাবান ব্যবহার করে অথবা অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার হয় তাহলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।

শুষ্ক ত্বকের জন্যঃ শুষ্ক ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা, কোকো মাখন এবং এভোকাডো উদ্ভিদ তেল রয়েছে এরকম সাবানগুলো খুবই কার্যকরী। যাদের টক অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়ে থাকে সাধারণত তাদের জন্য এই সাবানগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক যদি অনেক সুস্থ থাকে তাহলে উক্ত সাবানগুলো ব্যবহার করতে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ ৯ উপায়ে কিভাবে সুন্দর হওয়া যায় - রাতারাতি ফর্সা হওয়ার উপায়

মিশ্র ত্বকের জন্যঃ মিশ্র ত্বকের জন্য গ্লিসারিন যুক্ত সাবান গুলো খুবই কার্যকরী। মিশ্র ত্বক সাধারণত বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে মাঝেমধ্যে লক্ষ্য এবং মাঝেমধ্যে শুষ্ক হয়ে যাই। এ ধরনের ত্বকের জন্য গ্লিসারিনযুক্ত সাবান করো ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভেষজ সাবানঃ যাদের ত্বকের বিভিন্ন রকমের সমস্যা রয়েছে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে অয়েলি ত্বক তাদের জন্য এ সাবানটি খুবই কার্যকরী। এই সাবান অলিভ অয়েল এবং শিয়া বাটারের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।

সাবান ব্যবহার করার উপকারিতা

আমরা ইতিমধ্যে তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? এ সম্পর্কে জেনেছি। সাবান ব্যবহার করার আগে অবশ্যই উক্ত বিষয়টি জেনে তারপরে সাবান ব্যবহার করতে হবে ত্বকে। এখন আমরা সাবান ব্যবহার করার উপকারিতা সম্পর্কে জানব। যেহেতু আমরা প্রতিনিয়ত সাবান ব্যবহার করে থাকি তাই সাবান সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

আমাদের সকলের একই রকম হয় না। সবার ত্বকের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু ত্বকের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে তাই অবশ্যই আমাদেরকে সাবান ব্যবহার করার সময় অভিন্নতা রাখতে হবে। আমাদের ত্বকের সাথে যে সাবান সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থাৎ যে সাবান আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী সেই সাবান ব্যবহার করতে হবে।

সাবান মূলত কোন কিছু ধোঁয়া গোসল করা এবং পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া সাবান টেক্সটাইল শিল্পে লুব্রিকেট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাত ধোয়া অর্থাৎ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সাবান কার্যকরী ভূমিকা রাখে এছাড়া আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সাবান এর উপকারিতা রয়েছে।

সাবান ব্যবহার করার ক্ষতিকর দিক

নিয়ম না মেনে সাবান ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে আমাদের শরীরের। তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত সেই সম্পর্কে জেনে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী সাবান ব্যবহার করতে হবে। সাবান ব্যবহার করার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে নিয়ম না মেনে সাবান ব্যবহার করলে কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

  • আমাদের সকলের শরীরে এক ধরনের ন্যাচারাল অয়েল থাকে। প্রতিদিন যদি সাবান ব্যবহার করা হয় তাহলে এই ন্যাচারাল অয়েল নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের ফলে ব্যাকটেরিয়া নিধনের ওষুধ ও সাবান গুলো কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবাণুগুলো নিজেদের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে ওষুধের কার্যকরী আগে নষ্ট করে দেয়।
  • সাবানের গন্ধ যতই ভালো হোক না কেন যতই উপকারী হোক না কেন অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের বিপদ হতে পারে। কারণ এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।

তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিতঃ শেষ কথা

তৈলাক্ত ত্বকে কোন সাবান ব্যবহার করা উচিত? সাবান ব্যবহার করার ক্ষতিকর দিক, সাবান ব্যবহার করার উপকারিতা, কোন ত্বকের জন্য কোন সাবন ব্যবহার করবেন? উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় পাঠকগণ আশা করি আপনার রক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক থাকে তাহলে অবশ্যই উপরের নির্দেশনা গুলো অনুসরণ করুন।

আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চার জ্বর হলে করণীয়

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। ১৬৮৩০


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url