হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 - ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে

হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 ও  ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে - প্রিয় ভিউয়ার্স। আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। পবিত্র জিলহজ্জ মাসে আপনাদের জানাই হজের শুভেচ্ছা।  ১৪৪৪ হিজরি সারা বছরের আরবি মাসের চেয়ে উত্তম একটি মাস পবিত্র জিলহজ মাস। এ মাসে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ হজ পালন করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 সম্পর্কে জানতে চান। এবং ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে এই বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের সুবিধার্থে নিচে হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 ও ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি কি হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 এবং  ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে এ বিষয়ে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। তাহলে আপনার সুবিধার্থে নিচে হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 ও  ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে বিস্তারিত জানানো হলো।

হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 - ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে ভূমিকাঃ

একজন মুসলিম বান্দার উপর আল্লাহ তা'আলা হজ ফরজ করেছেন। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী এবং এর আশেপাশে মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা ইত্যাদি স্থানে ভ্রমণ ও এর আশেপাশে অবস্থান করা অবশ্যক। মুসলিমদের কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব ও যাকাত ইত্যাদি পাঁচটি স্তম্ভ। মুসলিমদের পাঁচ ইসলামদের মধ্যে একটি হলো হজ। 

এটি বিশ্বের বার্ষিক তীর্থযাত্রা। শারীরিক ও আর্থিকভাবে হজ করতে সক্ষম হওয়ার অবস্থাকে বলা হয় ইসতিতাহ এবং এ শর্ত পূরণকারী মুসলমানকে মুশতি বলা হয়। মুসলিম জনগণের ঐক্য এবং আল্লাহর প্রতি তাদের অনুগত্য প্রদর্শন। যিনি হজ করতে যান তাকে হাজী বলা হয় শব্দের অর্থ যাত্রায় অংশগ্রহণ করা যা ভ্রমণের বাহিক কাজ এবং উদ্দেশ্যের অভ্যন্তরীণ কাজ উভয়কে বুঝায়।

সারা বিশ্বে প্রতি বছর থেকে হজ পালন করার জন্য সৌদি আরবের সবাই অবতরণ করেন। একজন ব্যক্তি যার ভ্রমণের সক্ষমতা রয়েছে। তার ওপর হজ করা ফরজ। হজ করার জন্য আমাদের সৌদি আরবের ভ্রমণ করতে হয়। এবং সেখানে 40 দিন অবস্থান করতে হয়। ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে। 

এর উপর নির্ভর করে আমাদের হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 সম্পর্কে জানা জরুরি হয়। কারণ প্রতিবছর হজ করতে টাকা পরিমাণ পরিবর্তন হয়। আজকের পোস্টে আপনি যদি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে করেন। তাহলে অবশ্যই ২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে এবং হজ করতে কত টাকা লাগে 2023 তা জানতে পারবেন।

হজ কি - হজ সম্পর্কে হাদিস

হজ একটি আরবি শব্দ। হজ শব্দের অর্থ লক্ষ বা গন্তব্য বা উদ্দেশ্য। হজ হলো আল্লাহর ঘর কাবা চূড়ান্ত যাত্রা। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ একটি। একজন মুসলিম বান্দার উপর হজ করা ফরজ। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকবান ও মুক্ত মুসলমানের উপর হজ ফরজ। যারা জীবনে একবার তা পালন রাখতে পারেন।

হজ করা ফরজ নিচের হাদিস থেকে প্রমাণিত

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তার সাহাবীদের কে সম্বোধন করে বললেন, হে লোকজন আল্লাহ তোমাদের জন্য হজ ফরজ করেছেন তাই হজ কর। সহীহ মুসলিম ১৩৩৭।

[সুনানে নাসায়ী, হাদিস নং 2625]। হজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা কোনো কারণে হজ করতে না পারলেও সে ব্যক্তি হজের সোয়াব পাবেন। 'হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি হজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়, ওমরাহ পালন করে। অথবা জিহাদ করে রাস্তায় মারা গেলে আল্লাহ তার জন্য পরিপূর্ণ নেকি লিখে দেবেন।

হজ কত প্রকার ও কি কি?

হজ সাধারণত ৩ প্রকার, যথাঃ

(১) তামাত্তু, (২) কেরান, (৩) ইফরাদ।

প্রথমতঃ ‘তামাত্তু’ হল হজ্জের সময় প্রথমে উমরা করে হালাল হয়ে ইহরামের কাপড় বদলিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা। এর কিছু দিন পর আবার মক্কা থেকেই ইহরাম বেধে হজ্জের আহকাম পালন করা।

দ্বিতীয়তঃ ‘কিরান’ হল উমরা ও হজ্জের মাঝখানে হালাল না হওয়া এবং ইহরামের কাপড় না খোলা। একই ইহরামে আবার হজ্জ সম্পাদন করা।

তৃতীয়তঃ ‘ইফরাদ’ হল উমরা করা ছাড়াই শুধুমাত্র হজ্জ করা।

হজ করার উপকারিতা

আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য এবং কে নৈতিক এবং সরল পথ অনুসরণ করে তা দেখার জন্য, আল্লাহ তায়ালা অনেক ধরনের ইবাদত আরোপ করেছেন। মানুষ একে অপরের থেকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। কিছু লোকের একটি নির্দিষ্ট ধরণের উপাসনার প্রবণতা থাকে কারণ এটি তাদের ব্যক্তিত্বের সাথে খাপ খায়।

আবার তার চরিত্রের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে অন্যান্য উপাসনায় লিপ্ত হওয়ার ইচ্ছাও নেই। ফলস্বরূপ, আপনি লক্ষ্য করবেন যে ব্যক্তি প্রথম ধরণের উপাসনার নেতৃত্ব দিচ্ছে। অন্য দিকে, ব্যক্তিটি ঢিলেঢালা এবং সেকেলে হয়ে গেছে দ্বিতীয় উপাসনার শৈলীতে। যাইহোক, একজন সত্যিকারের আস্তিক সেই ব্যক্তি যে তাদের প্রভুর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করে, বরং তাদের নিজস্ব প্রবৃত্তির চেয়ে। ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভ হল উপাসনার অনেক শৈলীর একটি।

এর মধ্যে কোনটি শারীরিক কার্যকলাপ জড়িত; যা সম্পূর্ণরূপে শারীরিক উপাসনা; উদাহরণস্বরূপ, প্রার্থনা। তাদের মধ্যে কে, আরও একবার, নিছক সম্পদের সাথে আবদ্ধ? যেমনঃ যাকাত । তাদের মধ্যে কোনটি, আরও একবার, শারীরিক এবং আর্থিক? হজের কথাই ধরুন। অতএব, হজ বস্তুগত এবং আর্থিক উভয় ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। 

হজে অন্যান্য নামাজের চেয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি লাগে কারণতাই, আল্লাহ তায়ালা জীবনে একবার হজ করাকে নিজের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে করেছেন। হজ্জের জন্য প্রয়োজন, সেইসাথে অন্য যে কোন ইবাদতের জন্য, সামর্থ্য একটি প্রয়োজন। যদিও হজের যোগ্যতার প্রশ্নটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

২০২৩ সালে হজ কবে পালিত হবে